সবুজ হয়ে বেঁচে থাক অস্মিতা : প্রয়াত নাতনির স্মৃতি রক্ষায় বৃক্ষ দান দাদুর

31st August 2020 12:16 pm বর্ধমান
সবুজ হয়ে বেঁচে থাক অস্মিতা : প্রয়াত নাতনির স্মৃতি রক্ষায় বৃক্ষ দান দাদুর


মীর ওজল ( খন্ডঘোষ ) :  ২০০৯ সালের ৩১ শে আগষ্ট পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের বেরুগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় ঘোষ পরিবারের জন্মগ্রহণ অস্মিতা ঘোষ এর । বাবা ও মা  দুজনেই স্কুল শিক্ষক । তাদের আদরের একমাত্র মেয়ে অস্মিতা ঘোষ । স্বাভাবিকভাবেই জন্মদিনটিকে বাড়ির সকলে মিলে আনন্দের সাথে পালন করতেন । কিন্তু কেউ কখনও কল্পনাও করতে পারেননি যে তাদের আদরের অস্মিতা ঘোষ সবাইকে ফেলে রেখে পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেবে খুব অল্প সময়ের মধ‍্যেই । ২০১৯ এর এপ্রিল মাসে ১৬ তারিখে দুপুর বেলায় বাড়ীর সকলের সাথে চার চাকা গাড়ি করে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিল  অস্মিতা ।  ঠিক তখনই বেরুগ্রাম বাদুলিয়া রোডে বাদুলিয়ার কাছে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের ওই চারচাকা গাড়ি টি । আর এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয় অস্মিতা ঘোষকে । সেখান থেকে তাকে চিকিৎসকেরা কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন । মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই করে অস্মিতা ঘোষ অবশেষে  মৃত্যুর কাছে হার স্বীকার করে নিতে হয় ।আকস্মিক ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়ে গোটা গ্ৰাম সহ এলাকা । মাত্র ১০ বছরেই এই মর্মান্তিক মৃত‍্যু বাকরোধ করে দেয় সকলকে । বাবা মা সহ পরিবারের সকলেই বিহ্বল হয়ে পড়েন । তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে । তবু অস্মিতা রয়েছে সকলের সাথে জড়িয়ে । ছোট্ট মেয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে চোখের জল চিকচিক করে সবার । তাকে সকলের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে তার জন্মদিনে এলাকার মানুষদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়া হল । অস্মিতার  দাদু বলেন , আমাদের আদরের অস্মিতা যেন সকলের মাঝে বেঁচে থাকে তার জন্যই প্রত্যেকের হাতে গাছের চারা তুলে দিলাম ।  প্রত্যেককে এই বার্তা দিলাম যাতে তারা গাছগুলিকে যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করেন । তবুও আমি জানবো এই হাজারো গাছের মাধ্যমে আমাদের আদরের অস্মিতা আজও আমাদের মধ্যে বা সকলের মধ্যেই জীবিত রয়েছে। সবুজ হয়ে থাকবে সে সকলের সাথে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।